সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পদযাত্রায় সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয় করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের ইকরামুল হাসান শাকিল। ৮৪ দিনে কক্সবাজারের ইনানি সমুদ্র সৈকত থেকে হেঁটে ১৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তিনি পৌঁছান পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায়। এই অনন্য কীর্তি আর কোনো পর্বতারোহীর নেই বলে দাবি করেছে অভিযানের আয়োজক সংগঠন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব (বিএমটিসি)।
সোমবার (১৯ মে) এই ক্লাবের সদস্য এবং অভিযানের সমন্বয়ক সাদিয়া সুলতানা শম্পা জানান, শাকিল সফলভাবে চূড়ায় পৌঁছে ক্যাম্প ৪-এ ফিরেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তাঁর সঠিক সময়, সঙ্গী এবং চূড়ায় ওঠার ছবি বা ভিডিও পাওয়া যায়নি, তবে এভারেস্ট সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ এই সাফল্য নিশ্চিত করেছে।
এই অভিযান শুরু হয়েছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। ‘সি টু সামিট’ শিরোনামে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যাত্রা শুরু করেন শাকিল। তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল অতিক্রম করে নেপালে পৌঁছান এবং এরপর আরোহণ শুরু করেন। প্রায় তিন মাসের পদযাত্রা শেষে জয় করেন ২৯ হাজার ৩১ ফুট উচ্চতার এভারেস্ট শৃঙ্গ।
এর আগে ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ান পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার হেঁটে এভারেস্ট জয় করেছিলেন। শাকিল সময় এবং দূরত্ব- দুই দিক থেকেই সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন।
ইকরামুল হাসান শাকিল এর আগে ২০১৩ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় ১১ দিনের হাঁটা সম্পন্ন করে আলোচনায় আসেন। এরপর ভারত থেকে পর্বতারোহণের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালে কেয়াজো-রি শৃঙ্গ জয় করেন এম এ মুহিতের নেতৃত্বে সাত সদস্যের দলে অংশ নিয়ে।
শাকিলের আগে বাংলাদেশ থেকে এভারেস্ট জয় করেছেন- মুসা ইব্রাহিম, নিশাত মজুমদার, এম এ মুহিত, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবার আলী। শাকিল এই তালিকায় সপ্তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হলেও তাঁর অর্জন বিশ্ব পরিসরে ব্যতিক্রম।
আয়োজক সংগঠন জানিয়েছে, শাকিলের নিরাপদে বেসক্যাম্পে ফেরাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খুব শিগগিরই তাঁর অভিযান সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য, ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হবে। আগ্রহীরা ‘ইকরামুল হাসান শাকিল’ নামক ফেসবুক পেজে এসব আপডেট পেতে পারেন।