প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৫০ জনের কম এবং ৫০ থেকে ১০০ শিক্ষার্থী বিশিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে জরুরি ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা প্রদান করেছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এনডিসি স্বাক্ষরিত।
নির্দেশনাগুলো হলো—
- সার্বক্ষণিক যোগাযোগ: ৫০ এর কম এবং ৫০–১০০ শিক্ষার্থীবিশিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
- শিশু জরিপ: বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় ‘শিশু জরিপ’ করে নির্ধারণ করতে হবে কোন শিশু কোন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে এবং যারা কোনো বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
- অভিভাবক সম্পৃক্ততা: অভিভাবকদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ এবং মা সমাবেশ আয়োজন করতে হবে।
- সামাজিক প্রচারণা: শিক্ষার্থী বাড়ানোর জন্য স্থানীয় মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা বাজারে মাইকিং করে শিক্ষার গুরুত্ব প্রচার করতে হবে।
- পুরস্কার প্রদান: নিয়মিত উপস্থিত শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা এবং অভিভাবকদের ধন্যবাদ ও প্রশংসাপত্র দেওয়া হবে।
- বিদ্যালয় একীভূতকরণ: ৫০ শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি সম্ভব না হলে, ওই বিদ্যালয় কীভাবে অন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা যায়, তা নিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
- ১০০ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়: ১০০ শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
- জাতীয় দিবসে সম্পৃক্ততা: বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
- স্লিপ কার্যক্রম: স্লিপ কার্যক্রমে অভিভাবকদের পরিকল্পনা ও মতামত অন্তর্ভুক্ত করতে পরামর্শ প্রদান করা হবে।
- এই নির্দেশনাগুলো শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ানো এবং প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

