ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা প্রাধান্য বজায় রেখেছেন। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদে জোটের প্রার্থীরা ২৩টিতে জয়ী হয়েছেন।
বাকি পাঁচটি পদে জয়ী হয়েছেন শিবিরের প্যানেলের বাইরে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন যুবাইর বিন নেছারী। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জয়ী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বী। এছাড়া সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার পর ঢাবির সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
ভিপি পদে ছাত্রশিবির প্যানেলের মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
জিএস পদে ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এসএম ফরহাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদেও জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মুহা. মহিউদ্দীন খান। তিনি ১১ হাজার ৭৭২ ভোট অর্জন করেছেন। ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
জোটের প্রার্থীরা আরও ২০টি পদে জয়ী হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩১ ভোট। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন ইকবাল হায়দার, পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৩৩ ভোট। আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে খান জসিম পেয়েছেন ৯ হাজার ৭০৬ ভোট।
ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক হিসেবে লড়েছেন আসিফ আবদুল্লাহ, ৯ হাজার ৬১ ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরমান হোসাইন, পেয়েছেন ৭ হাজার ২৫৫ ভোট। কমন রুম, রিডিং রুম ও কাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন উম্মে ছালমা, ৯ হাজার ৯২০ ভোটের সঙ্গে। মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে সাখাওয়াত জাকারিয়া পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৪৭ ভোট। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এমএম আল মিনহাজ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮ ভোট। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন মাজহারুল ইসলাম, পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৪৪ ভোট।
সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাবিকুন্নাহার তামান্না (১০ হাজার ৪৮ ভোট), সর্বমিত্র (৮ হাজার ৯৮৮ ভোট), আনাস ইবনে মুনির (৫ হাজার ১৫ ভোট), ইমরান হোসেন (৬ হাজার ২৫৬ ভোট), তাজিনুর রহমান (৫ হাজার ৬৯০ ভোট), মেফতাহুল হোসেন আল মারুফ (৫ হাজার ১৫ ভোট), বেলাল হোসাইন অপু খান (৪ হাজার ৮৬৫ ভোট), রাইসুল ইসলাম (৪ হাজার ৫৩৫ ভোট), মো. শাহিনুর রহমান (৪ হাজার ৩৯০ ভোট), মোছা. আফসানা আক্তার (৫ হাজার ৭৪৭ ভোট) এবং রায়হান উদ্দীন (৫ হাজার ৮২ ভোট)।

