রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে সাবেক ১৭ সমন্বয়ক কমিটির মধ্যে ১০ জন প্রার্থী হয়েছেন। রাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৯ জন এবং হল সংসদে ১ জন। নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে ১ জন নারী, ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকি ৯ জন পাঁচটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে লড়বেন।
যাঁরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না, তাঁদের মধ্যে ৫ জনের ছাত্রত্ব নেই, আর দুইজন নারী শিক্ষার্থী নিজেদের নির্বাচনে না অংশ নেওয়ার কারণ হিসেবে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া উল্লেখ করেছেন।
প্যানেল ও প্রার্থীরা:
- ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল: সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা (জিএস)।
- ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’ প্যানেল: সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী মারুফ (ভিপি)।
- ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেল: সাবেক সমন্বয়ক ফুয়াদ রাতুল (ভিপি)।
- ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল: মেহেদী সজীব (ভিপি), সালাউদ্দিন আম্মার (জিএস), আকিল বিন তালেব (এজিএস)।
- ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল: তাসিন খান (ভিপি), মাহাইর ইসলাম (এজিএস)।
মো. আতাউল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নুরুল ইসলাম (শহিদ) হল সংসদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘নবাবীয়ান ঐক্যজোট’ প্যানেল থেকে জিএস পদে লড়ছেন।
সাবেক সমন্বয়করা একক প্যানেল না গঠনের কারণ ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়–ভিত্তিক কমিটি তৈরি হয়নি এবং সবাইকে একত্র করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁরা নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ চালাতে প্রস্তুত।
সাবেক দুই নারী সমন্বয়ক ফৌজিয়া নৌরিন ও অহনা মৃত্তিকা নির্বাচনে অংশ নেননি, কারণ তাঁরা জুলাই আন্দোলনের পর থেকে সাইবার বুলিংয়ের শিকার। অহনা মৃত্তিকা উল্লেখ করেছেন, নারী শিক্ষার্থীদের পাশে রাখা না হওয়া এবং সাইবার হুমকির কারণে নির্বাচনে অংশ নেওয়া হয়নি।