শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮-এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে রোববার তারা মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। মহাপরিচালক অনুপস্থিত থাকায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রাজস্ব) রাজা মুহাম্মদ আব্দুল হাই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জটিলতার কারণে তারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ২.৩ শতাংশ। এর মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
তারা জানান, সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এই শূন্য পদগুলোতে তারা ৬১ জেলার প্রার্থীদের নিয়োগ চান।
প্রার্থীরা আরও বলেন, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ওই ৪ হাজার প্রার্থীকে বঞ্চিত করে পরবর্তী সার্কুলারের মাধ্যমে শত কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। সার্কুলারের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি।
তারা দাবি করেন, ২০১৮ সালে ভিন্নমতের প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করলেও তা মানা হয়নি। ২০২০ সালে তারা প্রেস ক্লাব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ৫৭ দিন আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন।
প্রার্থীরা বলেন, গত দুই বছর ধরে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তারা আশা করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০১৮ সালের বঞ্চিত প্রার্থীদের তথ্য যাচাই করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে।