বর্তমান সরকার দেশের জনগণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে অপশক্তিদের উসকানি দিচ্ছে এবং ইসলামের খারাপ রূপ প্রদর্শনের চেষ্টা চলছে বলে জানায়, কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজাহার। তিনি এই মন্তব্য করেন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে, যা ভাববৈঠকী কর্তৃক মাজারে হামলার ঘটনার পর সংগঠিত হয়।
ফরহাদ মজাহার বলেন, “মাজার ভাঙা একটি ফৌজদারি অপরাধ। সরকারের দায়িত্ব হলো এমন অপরাধে বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু কুমিল্লার ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা লজ্জাজনক। সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও দগ্ধ করার ঘটনায় ডক্টর ইউনূসের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জানি না কেন সরকার মাজার ভাঙার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমাদের সন্দেহ, ধর্মকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে ইসলামকে একটি খারাপ ধর্মে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা চলছে এবং বর্তমান সরকার তাই করছে। দেশের জনগণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এই অপশক্তির ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। ডক্টর ইউনূস, আপনি জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের জন্য যাচ্ছেন। আশা করি, দেশের নির্যাতিত মানুষের কথাও বলবেন।”
ফরহাদ মজাহার বলেন, “আমাদের দেশের ইস্যুর চেয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু বড় কিছু নয়। আমরা স্বরাষ্ট্র, ধর্ম, সংস্কৃতি ও আইনের উপদেষ্টাদের কাছে একটি কমিটি গঠন করে মাজার সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেব।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাউল শিল্পী মহারাজ আবুল সরকার, জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, সুজন সরকারসহ অন্যান্যরা।