সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে শিক্ষকেরা এটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, “সরকারের বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার) প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।”
আদেশে আরো বলা হয়, ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সব আর্থিক বিধিবিধান মানতে হবে এবং অনিয়ম ঘটলে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, “শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় এই প্রস্তাবই আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।”
তিনি জানান, দুপুর ১২টায় শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিলের পরিকল্পনা থাকলেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের কারণে মিছিল বেলা ৩টায় শুরু হবে।
এর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৫০০ টাকা করেছে। তবে শিক্ষকেরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। ১২ অক্টোবর থেকে এই সংগঠনের ডাকে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সচিবালয় অভিমুখে অবস্থান, লংমার্চ ও শাহবাগ মোড় অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন।
গত বৃহস্পতিবার আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেন। তবে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি হলো, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করার।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পান, যা ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। আগে বছরে দুটি উৎসব ভাতা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে পেতেন। গত মে মাসে তা বৃদ্ধি করে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।