দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর, বিশেষ করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর থেকে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এখন আগের চেয়ে বেশি সতর্ক অবস্থানে আছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ সবসময়ই সজাগ থাকে। তিনি বলেন, “দেশের কী-পয়েন্ট ইনস্টলেশন বা কেপিআই এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ সব সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”
পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরে আগুন লাগার ঘটনার পরই শনিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে কেপিআই এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জেলা পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নিজ নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সরাসরি তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে মোট ৫৮৭টি স্থাপনাকে কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত টহল, নিরাপত্তা প্রতিবেদন, সিসিটিভি ক্যামেরা, লাগেজ স্ক্যানার ও যানবাহন তল্লাশি ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ বাধ্যতামূলক।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলোর পর পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি উচ্চ সতর্কতায়। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদারের এই উদ্যোগ শুধু আগুনের ঘটনাই নয়, যেকোনো নাশকতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখবে।