দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় তৈরি হওয়া একটি লঘুচাপ ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এর প্রভাবে আগামী কয়েকদিন সমুদ্রের অবস্থা অস্থির থাকবে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিডব্লিউওটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজকের মধ্যেই সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এটি আগামী ২৬ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে আরো ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে একটি সাধারণ মানের ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর ইতোমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের বেশিরভাগ এলাকায় ঢেউয়ের তীব্রতা বাড়তে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে এর প্রভাব শুরুতে সীমিত থাকলেও ২৭ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরেও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে সমুদ্রে থাকা সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার ও নৌযানকে সতর্কভাবে চলাচল করতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
বিডব্লিউওটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও আশপাশের অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। ফলে আগামীকাল দেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। কেবল কক্সবাজার, বান্দরবান এবং খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তবে ২৯ অক্টোবরের পর আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সে সময় থেকে একটি ‘বৃষ্টি বলয়’ সক্রিয় হয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ স্থানে ক্রমে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। এই সময় আকাশও থাকবে মেঘাচ্ছন্ন।

