গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এলডিসি থেকে উত্তরণ, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি এবং শ্রম আইন সংস্কারসহ পোশাক শিল্পের বর্তমান সংকট ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পখাত কঠিন সময়ের মুখোমুখি। তিনি বলেন, “শ্রম আইন সংস্কার প্রয়োজন, তবে তা অবশ্যই বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। আইন এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে এটি শিল্পের টেকসই বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে।”
সংবাদ সম্মেলনে সংশোধিত শ্রম আইন ২০২৫ পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনটির দাবি—শিল্প, শ্রমিক ও অর্থনীতির বাস্তব চাহিদা বিবেচনায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রসঙ্গে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে সরকারকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা প্রস্তাব করছি, রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক।”
চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সক্ষমতা না বাড়িয়ে একলাফে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো একেবারেই অযৌক্তিক। এতে রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।”
বিজিএমইএ মনে করে, পোশাক শিল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মূল চালিকা শক্তি। তাই এ খাতের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সরকার, শিল্পমালিক ও শ্রমিক—সব পক্ষেরই বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

