রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৫। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী। মেলা চলবে আগামী শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত।
মেলার আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এবং টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড।
উদ্বোধনী বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ট্যুরিজম সেক্টর শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি যুব সমাজের সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে নতুন সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হওয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, “সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো দেশ ট্যুরিজমকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি এগিয়েছে। আমাদের দেশে এত সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কেন এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারব না?”
মেলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টোয়াবের মো. তাসলিম আমিন শুভ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিইও ড. মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও নুজহাত ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়মা শাহিন সুলতানা।
নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, “ট্যুরিজম আর শুধু শখ নয়, এটি একটি প্রফেশন। এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং লক্ষাধিক কর্মসংস্থান তৈরি করছে।”
সায়মা শাহিন সুলতানা বলেন, “ট্যুরিজমের মাধ্যমে আমরা দেশের পণ্য ও সেবাকে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করতে পারছি। এটি দেশের সার্বিক অর্থনীতিকেও সাহায্য করছে।”
এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্কের বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্ট। আগের চেয়ে মেলাটি আরও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোট ৪টি হল, ২০টি প্যাভিলিয়ন এবং ২২০টি স্টল থাকবে।
মেলায় আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইনস, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার এবং হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদর্শক হিসেবে অংশ নেবে। সাইড ইভেন্ট হিসেবে থাকবে বিটুবি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পর্যটন গন্তব্যের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র (শুধুমাত্র বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য), বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার এবং পর্যটন সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ।
মেলায় সহযোগিতা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশ, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং এফবিসিসিআই। প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ৫০ টাকা, তবে ছাত্র-ছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাইযোদ্ধাদের জন্য মেলা ফ্রি।

