মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের কর্মকর্তা।
সেনা সদরের এজি শাখার পার্সোনেল সার্ভিসেস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান আজ বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আইনি ও প্রক্রিয়াগত কাঠামোর মধ্যে পড়ে। আইসিটি আইনের তৃতীয় সংশোধনীতে সরকারি চাকরিতে অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ আছে। তবে এটি ব্যাখ্যার বিষয়ও রয়েছে।’
তিনি আরো জানান, সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং স্পষ্ট নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যদি ‘ডিসকোয়ালিফিকেশন’ বা অযোগ্যতা মানে চাকরিচ্যুতি হয়, তবে সংশোধনীর মধ্যে সেই প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ‘পাবলিক অফিস’ বা সরকারি পদ কী বোঝানো হয়েছে, সেটিও আরও পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর বলেন, ‘আইন অনুযায়ী মামলা আইসিটি আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে এবং সেনা আইন ১৯৫২ মুখোমুখি দাঁড়াবে না। বিচার প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে। আমরা চাই গুম ও হত্যার শিকারদের প্রতি সহানুভূতি বজায় রেখে আমাদের কর্মকর্তাদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত হোক।’
গত ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণের পর ৩২ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা। ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, ওই ১৫ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এই কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক র্যাব, ডিজিএফআই ও বিজিবি কর্মকর্তারা রয়েছেন। সেনা সদর আশা করছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিষয়টি সমাধান হবে।

