পটুয়াখালী—জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদল এবং গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষটি গত রাতের ৯টার দিকে চরকাজল ও চরবিশ্বাস ইউনিয়নের সীমান্ত চৌরাস্তা এলাকায় ঘটে।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল খলিফা জানান, গণ অধিকার, যুব অধিকার ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের কপালবেড়া ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণার পর আনন্দমিছিলের সময় তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে সহকর্মীসহ তারা গুরুতর আহত হন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি আবু নাঈম, কর্মী সাহাবুল খলিফা, সদস্য আজমির খলিফা, নবীন খলিফাসহ ১০–১২ জন। সোহেল খলিফা বলেন, তাঁর সহকর্মী সাহাবুল খলিফাকে পেটাতে দেখে তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগম এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এদের গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, হামলায় আহত হয়েছেন যুবদলের চরপালবেড়া ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রাঢ়ি (৩২)। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজারে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের পক্ষে শুভেচ্ছা মিছিল করার সময় গণ অধিকারের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
ইলিয়াস রাঢ়ি জানান, যুবদলের সদস্য সবুজ রাঢ়ি, হাসান রাঢ়ি, নূরনবী রাঢ়ি, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব রাঢ়ি, আবু রায়হান, সোলায়মান রাঢ়ি, রিয়াজ রাঢ়িসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশাদুর রহমান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিরা দুই পরিবারের সদস্য এবং দুটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

