প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ইতিহাসের গভীর বোধ ছাড়া কোনো সংস্কারক প্রজ্ঞাবান হতে পারেন না। কোনো বিচারক তার সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। আইন হলো কোনো জাতির নৈতিক ইতিহাস, যা ন্যায়ের ভাষায় লেখা হয়। ইতিহাস আমাদের শেখায় কেন সমাজকে আরও ভালো হতে হবে।
তিনি এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি (হীরক জয়ন্তী) ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচার বিভাগ কেবল ঐতিহ্যের স্বস্তিতে টিকে থাকতে পারে না। সময়ের সঙ্গে সমান্তরাল থাকতে হলে এটিকে সংস্কার করতে হবে। গত ১৫ মাসে আমরা বিচারব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জনগণের জন্য বিচারপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি এখনও চলমান রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয়, বরং নৈতিক। প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতার সেবা নয়, মানুষের সেবা দিতে হবে। কর্তৃত্বকে বৈধতার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। বিচার বিভাগ জনগণের আস্থার নৈতিক অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব স্থাপন করছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ফিলিস্তিন ও থাইল্যান্ড। এ সংযোগের উদ্দেশ্য হলো আইনের সঙ্গে ইতিহাস ও দর্শনের আন্তঃবিষয়ক জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে বিশ্বজনীন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভাপতিত্ব করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী (অ্যালামনাই) এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।

