গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যারা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে অংশ নিতে চান, তারা পদত্যাগ করলে সরকারের নিরপেক্ষতা আরও জোরদার হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, “উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জন্য শুভকামনা রইল। তিনি বা সরকারের যেসব উপদেষ্টা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসতে চান, তারা পদত্যাগ করলে সরকারের নিরপেক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমি আসিফ মাহমুদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। যদি তিনি আরও আগে পদত্যাগ করতেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ হতো।”

রাশেদ খান বলেন, সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আসিফ মাহমুদকে ঘিরে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এর পুরো দায় আসিফ মাহমুদের নয়। তার ভাষায়, “সরকারের সিনিয়র উপদেষ্টারা তরুণ উপদেষ্টাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা দিতে পারেননি। তারা তরুণদের ‘বিপ্লবের শক্তি’ও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে আসিফরা হতাশ হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, আসিফ মাহমুদের ভুল থাকতে পারে, তবে তরুণ বয়সে ভুল করা স্বাভাবিক। তার রাজনৈতিক সাহসের প্রশংসা করে রাশেদ খান বলেন, “আসিফ মাহমুদের সাত শব্দের লাইন ইতিহাস বদলে দিয়েছে— ‘পরশু নয়, কালকেই লং মার্চ টু ঢাকা!’ তিনিই ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে লং মার্চের তারিখ এগিয়ে আনার নায়ক ছিলেন।”
শেষে রাশেদ খান আসিফ মাহমুদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বলেন, “আমি আশা করি, তিনি ভবিষ্যতে জনগণের নেতা নয়, বরং সেবক হিসেবে কাজ করবেন।”

