গতকাল রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ের সামনে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তারা একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য ফেরত এবং মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার গেজেট বাতিলসহ মোট আট দফা দাবি করেন।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতৃত্বে এ কর্মসূচিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বিক্ষোভে তারা অর্থ উপদেষ্টা এবং বিএসইসির চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেন। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ও বিএসইসির কমিশনার এবং চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুঁজিবাজারে পতন ঘটে। বাজারের এই করুণ দশার জন্য অর্থ উপদেষ্টা এবং বিএসইসির চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন তারা।
বিক্ষোভ চলাকালীন উপস্থিত বিনিয়োগকারীরা দেশের সব বিনিয়োগকারী সংগঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। পরে পুঁজিবাজারের ১০টি সংগঠনকে নিয়ে নতুন জোট গঠন করা হয়। নতুন জোটের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি ঘোষণা করেন সিনিয়র সমন্বয়ক এসএম ইকবাল হোসেন।
বিনিয়োগকারীদের আট দাবি:
- অযোগ্য ও অদক্ষ বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দ্রুত অপসারণ।
- মার্জিন ঋণ বিধিমালা-২০২৫-এর গেজেট দ্রুত বাতিল করা।
- মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা-২০২৫-এর গেজেট দ্রুত বাতিল করা।
- একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য বিনিয়োগকারীদের দ্রুত ফেরত দেওয়া।
- বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যর্থতার দায়ে বিএসইসির পুরো কমিশনের পদত্যাগ।
- বিএসইসির ভেতরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত চিহ্নিত ও অপসারণ।
- শেয়ারমার্কেট লুটকারী ও মিউচুয়াল ফান্ড লুণ্ঠনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনা।
- পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার মার্কেটের লেনদেন স্থগিত রাখা।

