ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। তীব্র ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে ১০ জন। বিভিন্ন এলাকায় আহত অর্ধশতাধিক।
তীব্র ভূমিকম্পে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি ভবনের সানশেড ভেঙে ৩ জন নিহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে সড়কের পাশের দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নরসিংদীতে ২ জন নিহত হয়েছে, এর মাঝে ১ জন গাবতলীতে বাসার দেওয়াল চাপা পড়ে ওমর (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী। একই সময় মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫ এবং কেন্দ্রস্থলও নরসিংদী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন আহত হয়েছেন। গাজীপুরের তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত হয়েছেন ১০ জন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আহত ৪৫ জনের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আতঙ্কে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় জড়ো হন। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূকম্পন শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
নিউমার্কেট এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, একটি পুরাতন বিল্ডিং হেলে পড়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন- জোন-এ থেকে প্রতিটি বিল্ডিংয়ের মানুষ হুড়োহুড়ি করে আবাসনের বাহিরে চলে আসে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ঢাকার শহরে সঠিক ভূমিকম্পের জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। অন্যথায় লাখ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁদপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, বগুড়া, বরিশাল এবং মৌলভীবাজার থেকেও ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর এসেছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের ফলে বেশ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

