হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ প্রতিদিনই স্পষ্টভাবে বেড়ে চলছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাস এবং বাতাসে অস্বাভাবিক উচ্চ আর্দ্রতা পুরো জেলাজুড়ে ঠান্ডার অনুভূতি আরো তীব্র করে তুলছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। কুয়াশা তেমন না থাকলেও আর্দ্রতার উচ্চমাত্রা শরীরে শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে রোদের উপস্থিতি দেখা গেলেও দিনের বেলা ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবারের ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রির তুলনায় সামান্য বেশি ছিল। একইদিন বিকেলে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের উপস্থিতি আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
তেঁতুলিয়া ছাড়াও দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদর—সব উপজেলাতেই ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা হাওয়া বইছে। দিনের আলোয় সূর্য দেখা মিললেও প্রচণ্ড আর্দ্রতা ও হিমেল বাতাস স্থানীয়দের শীতের চাপ স্পষ্টভাবে অনুভব করাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে শীত পুরোপুরি জেঁকে বসবে।

