আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনটি জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের সময় এলাকায় কোথায় বেশি ঝুঁকি রয়েছে তা বিবেচনা করে লাল, হলুদ ও সবুজ—এই তিনটি রঙের ভিত্তিতে জোন নির্ধারণ করা হবে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমনওয়েলথের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি জোনে ভাগ করা হবে।
প্রতিনিধিদল ইসিকে সতর্ক করেছেন যে, ভোটের সময় অপতথ্য বা ভুয়া খবর ছড়িয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ঘানার নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে তারা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। 이에 ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিশন ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে প্রস্তুত এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
ইসি সচিব আরও জানিয়েছেন, প্রচার-প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।
৫৩ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনে নিয়োজিত প্রায় ১০ লাখ কর্মীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৃত ভোটারদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনকে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদল ‘ভালো উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইসি সচিবের আশা, এবারের নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং অংশগ্রহণমূলক। তিনি জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম প্রস্তুত আছে, এবং একদিনে গণভোট সম্পন্ন করার দায়িত্বও সফলভাবে পালন করা সম্ভব হবে।
বৈঠকের আগে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি সিইসির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেন এবং কমিশনের ওপর তাদের আস্থা প্রকাশ করেন।

