আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন: ফ্রাজিলিটি অ্যাজ দ্য নিউ নরমাল স্টেটস ইন পার্মানেন্ট ইমারজেন্সি’ শীর্ষক সেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ স্পষ্ট করেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, “আর্থিক দুর্নীতির প্রশ্নটি আপনি তুলেছেন। তথ্যগতভাবে এটি সঠিক নয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক দুর্নীতি বা অনিয়ম ঘটেনি। এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগে বিভ্রান্ত হওয়া ঠিক নয়।”
তিনি আরও বিস্তারিত বলেন, “যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিথ্যাচার করে থাকে, তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে তাকেই নিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব খরচ এবং টাকার হিসাব সুষ্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার বরাদ্দকৃত ৭ কোটি টাকার মধ্যে দুই কোটি টাকাও কম খরচ হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দের তুলনায় ব্যয় হয়েছে অনেক কম। কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তার পুরো বিবরণ ইতিমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার অফিস এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি জানানো হয়েছে।”
এই বিবৃতিতে কমিশনটি নিজস্ব আর্থিক স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা পুনঃপ্রমাণ করেছে। আলী রীয়াজের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, কমিশন কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মে জড়িত নয় এবং সকল খরচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে।

