আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি পৃথক মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. আমির হোসেন।
এই দুই মামলায় আগে শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত জেড আই খান পান্না নিজেকে প্রত্যাহার করলে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মো. আমির হোসেনকে নিয়োগের আদেশ দেন।
২৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ জেড আই খান পান্নাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি নিজেকে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হতে অযোগ্য মনে করে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠান। আজ ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি জানানো হলে জেড আই খান পান্না তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজেকে প্রত্যাহার করেন।
এরপরই ট্রাইব্যুনাল-১ মো. আমির হোসেনকে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন। আজ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন। এছাড়া অপর প্রসিকিউটর ও আসামী পক্ষের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মানবতাবিরোধী এই দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআই-এর সাবেক পাঁচ মহা-পরিচালকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
এরপর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃত ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৫ জনই বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা। এর মধ্যে নয় জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআর-এ গেছেন এবং বর্তমানে ১৫ জন কর্মরত রয়েছেন।
১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. হাফিজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত এমইএস বিল্ডিং নং-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত সেনা কর্মকর্তাদেরকে এই সাময়িক কারাগারে রাখা হয়।

