ভোলা-বরিশাল সেতুসহ ছয় দফা দাবিতে ভোলা-বরিশাল-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বুধবার দুপুর থেকে ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বিশ্বরোড চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহন আটকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানো হলেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় তাঁরা বারবার কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হচ্ছেন। সম্প্রতি চরফ্যাশন থেকে লংমার্চ করে ঢাকা শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করার পরও দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।
এর আগে গত সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন, বিক্ষোভ, অবস্থান ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্যাসভিত্তিক ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ‘আমরা ভোলাবাসী’ সংগঠনের ব্যানারে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে শহর থেকে বোরহানউদ্দিন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের বিক্ষোভ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ, নৌবাহিনী ও র্যাবের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রণজিৎ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা দুপুর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছেন।
এদিকে যানজটে আটকে পড়া কয়েকজন চালক জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। তবে ভোলা-বরিশাল সেতু হলে উপকূলীয় মানুষের উপকার হবে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।
চট্টগ্রামগামী ট্রাকচালক মো. হোসাইন বলেন, ‘ট্রাকে কারখানার কাঁচামাল নিয়ে ভেদুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটে যেতে এসেছি। পরানগঞ্জে এসে এখন আন্দোলনের মুখে পড়েছি।’
৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলার গ্যাস ব্যবহার করে কলকারখানা স্থাপন, পাইপলাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভাঙন প্রতিরোধ এবং ভোলার হাসপাতালের সব শূন্য পদ পূরণ করা।

