দেশে বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো প্রয়োজনীয় ফান্ড পেলে চালু করা সম্ভব হবে বলে জানায়, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, এই উদ্দেশ্যে ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দেশের ঐতিহ্যবাহী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলের আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আদিলুর রহমান খান বলেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক পর্যায়ে আনতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে চিনিকলগুলো আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে এবং উন্নত জাতের আখ বীজ উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন চিনিকলের চিনি গুদামজাত হয়ে থাকে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশের উৎপাদিত চিনি যতদিন গুদামজাত থাকবে, ততদিন চিনি আমদানি করা হবে না। এ কারণেই চিনি টিসিবির মাধ্যমে বাজারজাত করা হচ্ছে। এছাড়া চিনিকলের অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।”
উদ্বোধনের আগে শিল্প উপদেষ্টা কেরু চিনিকলের আধুনিকায়ন করা নতুন কারখানাটি পরিদর্শন করেন। চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে মাড়াই কার্যক্রমের সূচনা করেন তিনি।
চলতি মাড়াই মৌসুমে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির চিনিকলে ৭৬ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২৫৬ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৫.৬০ শতাংশ। চিনিকলটি প্রতিদিন গড়ে ১,১৫০ টন আখ মাড়াই করবে এবং ৭০ থেকে ৭৫ দিন সচল থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রাশিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ মোহাম্মদ রেজাউল হক (পিপিএম), চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান।
অনুষ্ঠানে সাতজন আখচাষিকে সর্বোচ্চ আখ উৎপাদনকারী চাষি হিসেবে মিল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।

