রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদ্য সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এক নারী সহকর্মীকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল ভিডিও ও বার্তা পাঠিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি তাকে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি পদে বদলি করা হয়েছে।
ডিআইজি আবু সুফিয়ান ১৭তম ব্যাচের বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা। আরএমপি কমিশনারের আগে তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। অভিযোগকারী নারী কর্মকর্তা ৩৫তম ব্যাচের এডিশনাল এসপি এবং তিনিও ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নারী কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগনামা তৈরি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জুনিয়র নারী সহকর্মীকে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এর ফলে পুলিশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। অভিযোগে তাকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন এবং শাস্তি বিষয়ে অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিআইজি আবু সুফিয়ান বলেন, নারী কর্মকর্তাকে মেসেঞ্জারে অশ্লীল ভিডিও ও বার্তা পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অধীনস্থ ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তার মাঝেমধ্যেই মেসেঞ্জারে হাই-হ্যালো হতো। এক রাতে তাই হচ্ছিল। একপর্যায়ে নারী কর্মকর্তার মেসেঞ্জার থেকে তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে অসংগতিপূর্ণ একটি ভিডিও আসে। সকালে তিনি বিষয়টি জানতে ওই নারী কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। এরপর তিনি রি-সেন্ড করে জানতে চেয়েছিলেন, কেন এই ধরনের ভিডিও পাঠানো হয়েছে? পরে বুঝতে পারেন, সেটি ফেক আইডি থেকে এসেছিল।’ ডিআইজি আবু সুফিয়ানের দাবি, অনেক আগে ঘটনাটি একবারই ঘটেছে। পরে তিনি তা মুছেও দেন।
অবশ্য ঘটনার শিকার নারী কর্মকর্তা বলেন, তাকে বিভিন্ন সময়ই একতরফাভাবে আপত্তিকর ও অসংলগ্ন ভিডিও ও বার্তা পাঠানো হতো। যখন বিষয়টি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন তিনি নির্ধারিত বিভাগীয় নিয়ম অনুসরণ করে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

