ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এরশাদ হালিমকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. এনামুল হক সজীব, অভিযুক্ত অধ্যাপকের একজন প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত), যিনি কমিটির সদস্য–সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তদন্ত কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়া পাড়ায় নিজ বাসা থেকে অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রসায়ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সংবলিত পোস্ট ভাইরাল হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষাসংক্রান্ত সমস্যার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে অধ্যাপক তাদের শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন, দরজা-জানালা বন্ধ করে আলো নিভিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে (ডুজা) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক এরশাদ হালিমের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

