সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন–সুবিধা বাড়াতে গত জুলাইয়ে অন্তর্বর্তী সরকার পে কমিশন গঠন করে। প্রজ্ঞাপনে কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ দিতে বলা হয়। সেই হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও কমিশন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই সুপারিশ জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কমিশনকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। সময়সীমা পার হলেও সুপারিশ জমা না পড়ায় গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শাহবাগ শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করে তারা। সেখান থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে–স্কেলের গেজেট প্রকাশ এবং ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে গেজেট না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
কমিশন বলছে, আন্দোলনের চাপের কারণে নয়, বরং নিয়মিত প্রক্রিয়ায়ই দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। তবে তারা কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেনি। কর্মচারীদের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী কমিশনের হাতে কার্যদিবস রয়েছে মাত্র সাতটি, যা সুপারিশ চূড়ান্তের জন্য যথেষ্ট নয় বলে অভ্যন্তরীণভাবে মনে করা হচ্ছে।
কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রতিবেদনের লেখালেখি এগিয়েছে এবং খুব শিগগিরই সুপারিশ জমা দেওয়া হবে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব কি না নিয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি।
সরকার ও কমিশন–সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, সুপারিশ জমা দিতে পুরো ডিসেম্বর লেগে যেতে পারে। এরপর সেই সুপারিশ যাচাই–বাছাই করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করতেও অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হবে। ফলে কর্মচারীদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের সম্ভাবনা খুবই সীমিত।

