রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যা করার ঘটনায় মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঝালকাঠি এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, “মোহাম্মদপুরে জোড়াখুনের ঘটনায় জড়িত গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ঘটনা সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, গৃহকর্মী আয়েশা মা লায়লা ফিরোজ (৪৮) এবং মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করে পালিয়ে যান।
নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী, স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম, সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সকালে তিনি স্কুলে গেলে স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
পরবর্তীতে বাসায় ফিরে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখতে পান। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭:৫১ মিনিটে বাসায় আসেন এবং সকাল ৯:৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। পালানোর সময় তিনি একটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আর তার মেয়ের শরীরে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) লায়লা ও নাফিসার মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নিয়ে যাওয়া হয়। জোহরের নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।

