আগামী জাতীয় নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হলে এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দানকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এ সময় সকল জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। সুযোগকে কাজে লাগালে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব, আর না পারলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে।”
তিনি বলেন, বিগত সময়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তা কোনও সুস্থ মানুষের কাছে নির্বাচন হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, বরং প্রতারণার মতো। আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের জন্যও দিনটি ঐতিহাসিক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের পরামর্শ দিয়েছেন, তাদের মূল দায়িত্ব হলো শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন। ইউএনওদের পোলিং স্টেশন পরিদর্শন, স্থানীয় পক্ষ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি ভোটার সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বলেছেন, “ভোটারদের বোঝাতে হবে—মন ঠিক করে আসুন, ‘হ্যাঁ’ নাকি ‘না’ ভোট দেবেন।” এছাড়া, কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে নির্দেশ দিয়েছেন যে ভালো ধাত্রী থাকলে জন্ম নেওয়া শিশু ভালো হয়, অর্থাৎ কর্মকর্তারা সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে এবং নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতি এখন থেকেই নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এবং জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

