নরসিংদীর সবচেয়ে বড় সমস্যা রায়পুরায় উপজেলা, এখানে সন্ত্রাসীদের আড্ডা অনেক বেশি এবং হাতিয়ার রয়েছে বলে জানায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তাই সেনাবাহিনী, র্যাব পুলিশসহ সব বাহিনীর সমম্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে টেঁটা আপডেট হয়ে হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার ও পুলিশ লাইন্স পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কয়েদিরা পালিয়ে যায় এবং অস্ত্র লুট হয়। পরে অনেক কয়েদি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে, আর অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলখানায় আটক কয়েদিদের মধ্যে অধিকাংশই মাদক মামলার আসামি। মাদক নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাদক মামলার কয়েদিদের জন্য বিশেষ কারাগারও গড়ে তোলা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পুলিশের প্রশিক্ষণ মান উন্নয়নের ওপরও জোর দিয়েছেন।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এবং নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল-ফারুক।
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নরসিংদী পুলিশ লাইনসের ক্যান্টিন, হাসপাতালসহ অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

