চট্টগ্রামে নবীন চিকিৎসকদের পেশাগত দিকনির্দেশনা, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং নৈতিক চিকিৎসা চর্চা বিষয়ে সচেতন করতে ‘ইন্টার্ন ডাক্টরস’ রিসেপশন-ক্যারিয়ার ডিজাইন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সাত শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক এতে অংশগ্রহণ করেন।
গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠন, মেডিকেল এথিকস এবং দায়িত্বশীল চিকিৎসা চর্চার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে ন্যাশনাল ডাক্টর্স ফোরাম (এনডিএফ) চট্টগ্রাম শাখা।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার বলেন, “ভালো চিকিৎসক হতে হলে শুধু চিকিৎসা দক্ষতা যথেষ্ট নয়; নৈতিকতা, সততা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টার্নশিপই একজন চিকিৎসকের প্রকৃত পেশাগত যাত্রার সূচনা।”
এনডিএফ কেন্দ্রীয় শাখার সহসভাপতি ও ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ক্যারিয়ার অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। নবীন চিকিৎসকদের উচিত নিজেদের আগ্রহ, দক্ষতা এবং দেশের চাহিদা বিবেচনায় পরিকল্পনা করা।”
বিশেষ অতিথি সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহিবুর রহমান রাফে ‘মেডিকেল এথিকস অ্যান্ড এথিক্যাল প্র্যাকটিস: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’ বিষয়ক আলোচনা করেন। তিনি বাস্তব উদাহরণ তুলে নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন।
এনডিএফ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও এনডিএফ ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. এ কে এম ফজলুল হক, প্রফেসর ড. এ এম এম এহতেশামুল হক, প্রফেসর ড. মো. সেলিম, প্রফেসর ড. এ এস এম জাহেদ এবং ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডা. এটিএম রেজাউল করিম, ডা. শাহাদাত হোসেনসহ অন্যান্য চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে চিকিৎসা পেশায় নৈতিকতা ও পেশাগত সততা বড় চ্যালেঞ্জ। ইন্টার্ন পর্যায় থেকেই সঠিক দিকনির্দেশনা এবং ক্যারিয়ার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের প্রোগ্রাম নবীন চিকিৎসকদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং দায়িত্বশীল ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক হবে।

