আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সম্ভাব্য গণভোটকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সিসি ক্যামেরা সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ভোটার চলাচলের উপযোগী করে প্রস্তুত করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী অবকাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে এবং যেসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, সেখানে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই সচল রাখতে হবে। আর যেসব কেন্দ্রে এখনো সিসিটিভি নেই, সেসব কেন্দ্রের পরিচালনা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অন্তত ভোটের দিনের জন্য সিসিটিভি স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাতে হবে।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণের সময় যেন কোনো ধরনের গাফিলতি না থাকে, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীদের জন্য ভোটদানে বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিশেষ করে যেসব ভোটকেন্দ্র সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেখানে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে টানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

