বাংলাদেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে সেরা ব্র্যান্ডগুলোর স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ)। ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ শীর্ষক আয়োজনে এ বছর মোট ৪৫টি বিভাগে সেরা ব্র্যান্ড এবং সামগ্রিকভাবে সেরাদের সেরা হিসেবে শীর্ষ ১৫ ব্র্যান্ডকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়। এ আয়োজনে অংশীদার ছিল এনসার্চ লিমিটেড। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিএফ। বিবিএফ জানায়, এবছর মোট ৬১টি ব্র্যান্ডকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি বিভাগে ৪৫টি ব্র্যান্ড ‘মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পাশাপাশি ১৫টি ব্র্যান্ডকে দেওয়া হয় ‘ওভারঅল টপ ১৫ মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডস’ সম্মাননা। এটি ছিল বিবিএফ বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১৭তম আসর। অনুষ্ঠানে তৃতীয় সেরা ব্র্যান্ডের নামও ঘোষণা করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, সেরা ব্র্যান্ড নির্বাচনের জন্য এনসার্চ লিমিটেড দেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামে একটি বিস্তৃত জরিপ চালায়। এ জরিপে ১২ হাজার ৪০০ জন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতেই সেরা ব্র্যান্ডগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠানে এনসার্চের পরিচালক খন্দকার আসিফ মাহমুদ বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর নির্বাচন পদ্ধতি তুলে ধরেন।
ব্র্যান্ড ফোরাম জানায়, এবারের শীর্ষ ১৫ ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর প্রাধান্যই বেশি। টানা সপ্তমবারের মতো সেরাদের সেরা ব্র্যান্ডের মর্যাদা পেয়েছে বিকাশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে আরএফএল হাউসওয়্যার ও রাঁধুনী।
শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলো হলো ইস্পাহানি মির্জাপুর, গ্রামীণফোন, স্বপ্ন, ফ্রেশ আটা-ময়দা-সুজি, ক্লোজআপ, সানসিল্ক শ্যাম্পু, ম্যাগি টু-মিনিট নুডলস, এসিআই পিওর সল্ট, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড, প্রাণ ম্যাঙ্গো জুস, মোজো এবং রূপচাঁদা ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল। এবারের আয়োজনে ব্র্যান্ড ইকুইটি ইনডেক্সের ভিত্তিতে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির স্বীকৃতি হিসেবে আমা কফিকে ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিবিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনে একটি ব্র্যান্ড শুধু পণ্য বা সেবার নাম নয়। এটি মানুষের স্বপ্ন, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে। বাজারে সফলতার পাশাপাশি যে ব্র্যান্ডগুলো মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে, তাদের সম্মান জানানোই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
এ বছরের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভারটাইজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজিক অংশীদার হিসেবে যুক্ত ছিল। টার্কিশ এয়ারলাইনস ছিল অফিশিয়াল ক্যারিয়ার অংশীদার। মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ নলেজ অংশীদার। লো মেরিডিয়েন ঢাকা হসপিটালিটি অংশীদার এবং ব্যাকপেজ পিআর পিআর অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

