জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, সরকার চাইলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আবার বাড়ানো হতে পারে।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান। এসময় তিনি ডিআরইউ সদস্যদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল সাপোর্টিং বুথের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইতোমধ্যে ২৬ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে তাদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সব করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রথম দফায় সময় বাড়িয়ে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
রিটার্ন জমার সময় আরও বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রথমবারের মতো আমরা অনলাইন জমা বাধ্যতামূলক করেছি। অ্যাডভোকেট ও ট্যাক্স প্র্যাকটিশনাররাও তাদের সব ক্লায়েন্টের রিটার্ন অনলাইনে দিতে পারবে। সরকার যদি মনে করে সময় বাড়ানো দরকার, তখন বিবেচনা করবে।”
চেয়ারম্যান আরও জানান, বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে ২৬ লাখের বেশি রিটার্ন জমা পড়েছে। অর্থাৎ, এখনও প্রায় ১৫-১৬ লাখ রিটার্ন জমা দেয়নি। প্রতি দিন গড়ে ১৫ হাজারের বেশি নতুন করদাতা রেজিস্ট্রেশন করছেন।
রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিদিন আমি সিস্টেমের তথ্য মোবাইল ফোন থেকেই দেখছি। কতজন রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন রিটার্ন দিয়েছে, কত টাকা জমা হয়েছে—সবই দেখা যায়। যখন নতুন রেজিস্ট্রেশন কমে যাবে এবং যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তার বড় অংশ রিটার্ন জমা দেবে, তখন আমরা সময় বাড়ানো প্রয়োজন কিনা বুঝব। আমার ধারণা আরও ১৫ লাখের বেশি অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবে।”

