ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রথম দফায় ২ হাজার ৪৬৭ জন কর্মীকে এই বিমার আওতায় এনেছে সংস্থাটি।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) গুলশানের নগরভবনে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমি মনে করি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত। ঢাকার আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়লেও কর্মী সংখ্যা কম। জনবল নিয়োগের পাশাপাশি বিদ্যমান কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন, তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া জরুরি।”
তিনি আরো জানান, ডিএনসিসির নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের আরও পাঁচ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে অর্ধেক খরচে চিকিৎসা সেবা পাবেন। অসুস্থ হলে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাওয়া যাবে এবং কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে এককালীন ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যবিমার বার্ষিক প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা। এক হাজার জনের বিমার প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক), আর বাকি এক হাজার ৪৬৭ জনের বিমার টাকা দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, সাজেদা ফাউন্ডেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুল হক এবং রেকিট বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ তিন্নি।

