আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই তৎপরতা বেড়েছে। তফসিল ঘোষণার পর মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আগ্রহের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৮০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইসি ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ফলে আজই স্পষ্ট হয়ে যাবে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় কারা আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামছেন।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন গত ১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তবে পরে ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন একটি সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে সময়সূচিতে কিছু পরিবর্তন আনে। এতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময়সীমা দুই দিন কমানো হলেও, আপিল নিষ্পত্তির সময় দুই দিন বাড়ানো হয়।
নির্বাচনী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। এরপর ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, আর ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
সবশেষে, ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে সম্পন্ন হবে।
নির্বাচন কমিশনের এই সূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহেই দেশের রাজনৈতিক মাঠ আরও সরগরম হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

