বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার গতকাল রোববার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং চিকিৎসা খাতে পারস্পরিক বিনিময় সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, আগের বছরের তুলনায় দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও যৌথ উদ্যোগের সুযোগ খতিয়ে দেখছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যার মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞান, ন্যানোটেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে উঠে এসেছে।
শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা প্রসঙ্গে হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানে লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাতে প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক সহযোগিতা প্রদানে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সফর, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং জনগণ-পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সাফল্যের জন্য।
প্রফেসর ইউনূস আরো বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্বকালেই উভয় দেশ নতুন বিনিয়োগ ও যৌথ উদ্যোগের বাস্তব সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে।
সাক্ষাৎকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, ঢাকা-কারাচি সরাসরি ফ্লাইট আগামী জানুয়ারিতে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।
এই সৌজন্য সাক্ষাতে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

