দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের বিকাশে ১০ কোটি ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১২১৭ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই অর্থে এসএমই খাতে ঋণপ্রাপ্তি সহজ হবে এবং উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ‘দ্বিতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়’-এর আওতায় এ ঋণচুক্তি সই হয়। সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশে সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং চুক্তিতে সই করেন।
এ বিষয়ে পৃথকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এডিবির মধ্যেও একটি প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম আব্দুল হাকিম ওই চুক্তিতে সই করেন। ইআরডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০৩০ সালের মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত।
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে অবস্থিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণ করা। এতে বেসরকারি খাতের এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো সহজ শর্তে অর্থায়নের সুযোগ পাবে।
ইআরডি জানিয়েছে, এডিবির এই ঋণ ‘কম সুদের’ নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এটি পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে এবং বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের বিকাশে এডিবির সহায়তায় ২৪ কোটি ডলার সমমূল্যের একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছিল।
সরকার ও এডিবির যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত ‘সেকেন্ড স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম সাইজড এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসএমইডিপি-২)’ প্রকল্পের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ওই তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তাদের ৬ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদান করেছিল। সে সময়ও ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর বাইরের অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এ প্রকল্পের ঋণ সুবিধা পেয়েছিলেন।

