পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে সরকার স্পষ্ট জানাচ্ছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে। ব্যাংক একীভূতকরণের সময়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুজবগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই পাঁচটি ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। তাদের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য অংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। একীভূতকরণের পর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনও সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হয়ে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক গঠন করবে। ব্যাংকগুলো হলো– এক্সিম, সোস্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী।
উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন ও ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ অনুযায়ী হস্তান্তরকারী ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের পাওনা নিষ্পত্তি হবে। আইন অনুযায়ী ব্যাংকের মালিকানা দায় সীমিত। ফলে হস্তান্তরকারী ব্যাংকের উচ্চ মূলধন ঘাটতি ও ঋণাত্মক নিট সম্পদমূল্যের কারণে একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় শেয়ারহোল্ডারদের দাবি পরিশোধের সুযোগ নেই।’