স্কুল ব্যাংকিং শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এম. শামসুল আরেফিন জানান, এর শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু হয় ২০১১ সালে।
এনসিসি ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরাও অভিভাবকের সহায়তায় এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে থাকা কঠোর শর্ত এখানে প্রযোজ্য নয়।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা এখন ৪৪ লাখের বেশি। এই হিসাবগুলোতে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এগুলো মূলত ছোট ছোট পকেটমানি, নাশতার টাকা বা উপহারের অর্থ। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের অর্থ সচেতন হচ্ছে না, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি অবদান রাখছে।
ভবিষ্যতে এনসিসি ব্যাংক ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ নামে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানত (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুবিধা দেবে। এছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে হিসাব খোলা যাবে।
শামসুল আরেফিন বলেন, “স্কুল ব্যাংকিং শুধুমাত্র আর্থিক সেবা নয়। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার শক্তিশালী হাতিয়ার। শিক্ষার্থীরা অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে ওঠে।”