পূবালী ব্যাংকের ‘পাই ব্যাংকিং’, একটি স্মার্ট মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সব ধরনের ব্যাংকিং সুবিধা নিতে পারেন। নগদ লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো সময় টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ বা মোবাইল রিচার্জ করার সুযোগ থাকায় এটি এখন গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
পাই ব্যাংকিং মূলত এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা, যা ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহের সাত দিনই ব্যবহার করা যায়। ফলে গ্রাহকদের ব্যাংকে যেতে হয় না। নিরাপদে ও দ্রুততার সঙ্গে দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে।
পাই ব্যাংকিংয়ের মূল সুবিধাসমূহ:
টাকা স্থানান্তর: এই অ্যাপের মাধ্যমে পূবালী ব্যাংকের পাশাপাশি দেশের অন্য যেকোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা পাঠানো যায়। গ্রাহকরা নিজের বা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে সঠিক সময়ে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। ফলে ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, লেনদেন সম্পন্ন হয় কয়েক সেকেন্ডে।
মোবাইল রিচার্জ: অ্যাপটি ব্যবহার করে গ্রাহকরা সহজেই যেকোনো মোবাইল অপারেটরের নম্বরে রিচার্জ করতে পারেন। প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় গ্রাহকই এই সুবিধা নিতে পারেন। ফলে রিচার্জ কার্ড কেনা বা কাউন্টার সার্ভিস নেওয়ার ঝামেলা থাকে না।
বিল পরিশোধ: পাই ব্যাংকিংয়ে রয়েছে ইউটিলিটি বিল পরিশোধের সুবিধা। গ্রাহকরা গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও টেলিফোন বিলসহ বিভিন্ন নিয়মিত বিল এই অ্যাপের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন। সময়মতো বিল দিতে না পারার ঝুঁকিও কমে যায়।
মার্চেন্ট পেমেন্ট: অ্যাপটির মাধ্যমে বিভিন্ন মার্চেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহজে পেমেন্ট করা যায়। অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই QR কোড স্ক্যান করে নিরাপদে লেনদেন করা সম্ভব। এতে নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন পড়ে না এবং লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ে।
অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখা: গ্রাহকরা যেকোনো সময় তাদের অ্যাকাউন্টের লেনদেন ইতিহাস বা স্টেটমেন্ট দেখতে পারেন। এতে ব্যয়ের হিসাব রাখা ও আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা সহজ হয়। ব্যাংকে গিয়ে স্টেটমেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন থাকে না।
সার্বক্ষণিক সেবা: পাই ব্যাংকিং’ গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সুবিধা দেয় অর্থাৎ রাতদিন যেকোনো সময়, দেশের যেকোনো স্থান থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানো যায়।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে পূবালী ব্যাংকের এই উদ্যোগ গ্রাহকসেবা সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ করতে বড় ভূমিকা রাখছে। নগদবিহীন অর্থনীতির দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় এই অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করছে ব্যাংকটি।

