চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) প্রাইম ব্যাংক পিএলসির নিট মুনাফা বেড়েছে ২৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬২৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৯৫ কোটি টাকা। বিষয়টি জানা গেছে কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে প্রাইম ব্যাংকের মোট পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ১ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪২ পয়সায়, যা আগের বছর ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত হিসাব বছরে প্রাইম ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ওই বছর ব্যাংকের ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ২৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে এনএভিপিএস ছিল ৩৪ টাকা ৭ পয়সা। এর আগের ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। সে বছর ইপিএস ছিল ৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৫৩ পয়সা। ওই সময় এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছিল ৩০ টাকা ৭৬ পয়সায়।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি) প্রাইম ব্যাংকের সর্বশেষ ঋণমান মূল্যায়নে জানিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকটির রেটিং ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করা হয়।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬০ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। ব্যাংকটির রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৬ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ২১ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার।

