ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ৬৬ শতাংশ কমে ৯৯.৮১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই হ্রাসের পেছনে মূলত চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশ, সুদের হার ও বিনিয়োগের আয় কমে যাওয়া এবং পরিচালনাগত খরচ বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে।
গতকাল বুধবার ব্যাংকের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সময়ে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
শুধু জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৩২ কোটি টাকা, এবং শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২০ টাকা। এই প্রান্তিক ফলাফলও আগের বছরের তুলনায় কম, যা ব্যাংকের পরিচালনাগত ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে সাময়িক চাপ নির্দেশ করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধীরগতি, ঋণ আদায়ে জটিলতা, এবং বিনিয়োগ আয় কমে যাওয়া ব্যাংকের মুনাফার হ্রাসে প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া, ব্যাংকিং খাতে নতুন নিয়মাবলি ও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে পরিচালন খরচও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংকটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল ব্যাংকিং সম্প্রসারণ এবং সুদের কার্যকর ব্যবস্থাপনা এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রান্তিকে মুনাফা পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে। তারা আরও জানিয়েছেন, ব্যাংক গ্রাহক সেবা ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়ে চলবে।
-
জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৫: সমন্বিত নিট মুনাফা ৯৯.৮১ কোটি টাকা
-
শেয়ারপ্রতি আয় (EPS): ০.৬২ টাকা
-
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিক: নিট মুনাফা ৩২ কোটি, EPS ০.২০ টাকা
এই ফলাফল ব্যাংকের জন্য এক সতর্কবার্তা, যা পরিচালনা ও বিনিয়োগ কৌশল আরও প্রগতিশীল করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

