বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দৌড়ে ১৩টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, মোবাইল অপারেটর এবং মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উদ্যোক্তা গোষ্ঠী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে সময়সীমা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, পরে তা বাড়িয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। গত রোববার ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, এর উদ্যোক্তা সাংবাদিক শাইখ সিরাজ;
-
ডিকে ব্যাংক, ভুটানের একটি ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান;
-
আমার ডিজিটাল ব্যাংক, যার উদ্যোক্তা ২২টি ক্ষুদ্রঋণ দাতা সংস্থা;
-
৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, যার পেছনে রয়েছেন ১৬ জন উদ্যোক্তা;
-
বুস্ট, প্রতিষ্ঠাতা মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড;
-
আমার ব্যাংক, উদ্যোক্তা কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা;
-
অ্যাপ ব্যাংক, প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী কয়েকজন ব্যক্তি।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের আবেদন এসেছে:
-
নোভা ডিজিটাল ব্যাংক—বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন ও স্কয়ার গ্রুপের উদ্যোগে;
-
মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি—ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা আশা’র উদ্যোগে;
-
জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক—ডিবিএল গ্রুপের উদ্যোগে;
-
মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক—আকিজ রিসোর্সের উদ্যোগে;
-
বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক—বিকাশের বর্তমান শেয়ারধারীদের উদ্যোগে;
-
উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক—আইটি সলিউশন লিমিটেডের উদ্যোগে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আবেদন যাচাই–বাছাই শেষে লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিজিটাল ব্যাংক চালু হলে দেশের আর্থিক খাত আরও আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

