নভেম্বরের প্রথম দিনে ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমের মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৯৪০ টাকা। এতে অংশ নিয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠান—এর মধ্যে ৪টি মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস), ৪টি ব্যাংক এবং ১টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি)।
অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পরিচালিত ইসলামিক ওয়ালেট, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, রকেট, বিকাশ, টালিখাতা, পূবালী ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশে ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমে ইনকামিং লেনদেন সবচেয়ে বেশি—৩৭টি। তবে বিকাশ এখনো আউটগোয়িং লেনদেন চালু করেনি। অর্থাৎ, বিকাশে অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা নেওয়া যায়, কিন্তু বিকাশ থেকে অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে অর্থ পাঠানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “বিকাশকে জানানো হয়েছে, ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমে ইনকামিং ও আউটগোয়িং উভয় ধরনের লেনদেন চালু করতে হবে। না হলে কেবল ইনকামিং লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। যদি সিস্টেম পুরোপুরি সুরক্ষিত না থাকে, অ্যাড মানি ফিচারও বন্ধ করা হবে।” মোট লেনদেনের মধ্যে ইনকামিং হয়েছে ৬০টি এবং আউটগোয়িং ৪৯টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, আরও পাঁচটি ব্যাংক ধীরে ধীরে ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমে যুক্ত হবে। তারা হলো—ইস্টার্ন ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। তিনি বলেন, “পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর এসব ব্যাংক যুক্ত হবে।” ব্যাংক ও এমএফএস ভিত্তিক লেনদেনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী—
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ: ইনকামিং ১, আউটগোয়িং ৩
- এমক্যাশ: ইনকামিং ৯, আউটগোয়িং ৩
- ইসলামিক ওয়ালেট: ইনকামিং ১, আউটগোয়িং ৫
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ইনকামিং ১, আউটগোয়িং ১৭
- রকেট: কেবল ইনকামিং ৬
- টালিখাতা: ইনকামিং ৩, আউটগোয়িং ১
- পূবালী ব্যাংক: আউটগোয়িং ১৮
- প্রিমিয়ার ব্যাংক: ইনকামিং ২, আউটগোয়িং ২
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ইন্টারঅপারেবল লেনদেনের জন্য বিকাশ সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৫০ পয়সা ফি প্রস্তাব করে। নগদ প্রস্তাব ৭ টাকা ৫০ পয়সা, অন্য কিছু প্রতিষ্ঠান ৫ টাকারও কম প্রস্তাব দেয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক ফি নির্ধারণ করে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। এটি বেশির ভাগ অপারেটরের প্রস্তাবিত হারের চেয়ে বেশি, তবে বিকাশের প্রস্তাবের থেকে সামান্য কম।

