দুই মাসের বিরতির পর আবারও ডলার কেনা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত ডলারের দর অতিরিক্ত কমে যাওয়া ঠেকানো এবং বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই এ সিদ্ধান্তের লক্ষ্য।
রোববার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ৫৪ মিলিয়ন ডলার ১২২ টাকা ২৫ পয়সা দরে কেনা হয়েছে। এতে চলতি অর্থবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার কেনার পরিমাণ ২ বিলিয়নেরও বেশি হয়েছে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ডলারের দর ১২২ টাকা ১৭ পয়সায় নেমে যাওয়ায় নিলাম করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে একটি সংকেত দেওয়া হলো যে, ডলারের দর যেন অনেক কমে না যায়।”
বিস্তারিত বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডলারের দর কমার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। সরকারি বড় পেমেন্টের চাপ কমেছে, নতুন বিনিয়োগ কার্যত স্থবির রয়েছে, আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে বাজারে যোগান চাহিদার তুলনায় বেশি হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মহবুবুর রহমান বলেন, “সরকারি বড় পেমেন্ট ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে, তাই ডলারের ওপর চাপ কমেছে।”
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কৌশল ডলারের দর কিছুটা উঁচু রাখা। দর বেশি থাকলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ে, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২.৬৯ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরও জানিয়েছেন, “ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ রয়েছে এবং বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল।”
ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আসন্ন পেমেন্ট চাপ মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

