গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য একটি নতুন সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রাইজবন্ডের পুরস্কার ও ক্রয়–বিক্রয় সংক্রান্ত সব তথ্য এখন থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাইজবন্ডের লেনদেনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে না। তফসিলি ব্যাংকই এই তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাবে। সার্কুলারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিবর্তে তফসিলি ব্যাংকই সঞ্চয়পত্র বিক্রির দায়িত্ব পালন করবে।
চলতি মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সব শাখায় সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি, ক্ষতিগ্রস্ত নোট বদল এবং অটোমেটেড চালান–সংশ্লিষ্ট সেবা বন্ধ করেছে। এখন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর শাখায় এসব সেবা পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বিশ্বের কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি জনগণকে এই ধরনের সেবা প্রদান করে না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক জানিয়েছে, ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই)’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এই সেবা সরাসরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল অফিসসহ দেশের বিভিন্ন শাখায় মানুষ এই সেবা পেতেও এখন থেকে সব লেনদেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

