বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন ডেপুটি গভর্নরের বিদেশ সফরের অনুমোদন আটকে গেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে। গত জুলাই থেকে নভেম্বরে যে চারটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, সরকারি আদেশ (জিও) না পাওয়ায় কেউই যেতে পারেননি। গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, চারটি সফরের মধ্যে দুটিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহাম্মদের। বাকি দুটিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান এবং ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরীর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নরদের বিদেশ সফরের জন্য অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদন এবং পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরকারি আদেশ প্রয়োজন। অন্য কর্মকর্তারা বিদেশ সফরের অনুমতি সরাসরি ব্যাংক থেকে পান।
কোন কোন সফর আটকে গেছে:
-
জুলাই: মরক্কোতে ইসলামি অর্থায়ন ব্যবস্থা নিয়ে আইএফএসবি’র বার্ষিক সভায় অংশ নেওয়ার জন্য ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহাম্মদের নামে জিও চাওয়া হয়েছিল। তবে আদেশ জারি না হওয়ায় সফর হয়নি।
-
সেপ্টেম্বর: ফ্রান্সে ডিজিটাল লেনদেন ও কার্ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি কর্মশালায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরীর। ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সফর আয়োজন করা হলেও সরকারি অনুমতি না মেলায় তিনি যেতে পারেননি।
-
নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রে আইএমএফের একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়ার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান। আইএমএফ খরচ বহন করতে রাজি থাকলেও জিও না থাকায় সফর বাতিল হয়। একই মাসে চীনে আইএমএফের আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহাম্মদের। এখানেও সরকারি অনুমতি না থাকায় সফর স্থগিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের বিদেশ সফরের ফাইল অনুমোদনে অতিরিক্ত সময় লাগছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অংশগ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেননি।

