বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর এ পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশাসনিক কাঠামোয় তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যুক্ত হলেন।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে পরিচালক (বৈদেশিক মুদ্রা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেখানে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা ও নীতিনির্ধারণে তিনি কার্যকর ভূমিকা রাখেন। আরিফুজ্জামান ১৯৯৯ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময়ে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও বিভাগের দায়িত্ব পালন করে পেশাগত অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি একটি বেসরকারি কমার্শিয়াল ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যা তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের প্রাথমিক ধাপকে আরও শক্ত ভিত্তি দেয়।
চট্টগ্রাম অফিসে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) পরিচালক ছিলেন। আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও আর্থিক অপরাধ শনাক্তকরণে বিএফআইইউর কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন আর্থিক ঝুঁকি মূল্যায়ন, নীতিমালা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় কাজে যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন, এসএমই বিভাগ, কৃষি ঋণ পরিদর্শন বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিভাগে কাজের অভিজ্ঞতা তার প্রশাসনিক দক্ষতা, নীতি বিশ্লেষণ এবং ব্যাংকিং খাতের গভীর জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রেই তিনি কৃতিত্বের পরিচয় দেন, যা তার পেশাগত জীবনে বড় ভূমিকা রাখে। দীর্ঘ কর্মজীবনে দাপ্তরিক প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ভারত, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপাইন ও শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। এসব প্রশিক্ষণ তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করেছে।
পদোন্নতির মাধ্যমে আরিফুজ্জামান এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি প্রণয়ন, আর্থিক খাত উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কাঠামোয় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

