যমুনা ব্যাংক পিএলসির ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষায়িত দুটি প্রিপেইড কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘হজ অ্যান্ড ওমরাহ প্রিপেইড কার্ড’ নামে পৃথক এই দুটি কার্ড মূলত পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যাত্রাকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যয় ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করতে চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এই কার্ডগুলো ব্যবহার–বান্ধব ও নিরাপদ হওয়ায় যাত্রীরা বিদেশে অবস্থানকালে ঝামেলা ছাড়াই লেনদেন করতে পারবেন। এতে মুদ্রা বহনের ঝুঁকি কমবে এবং ভ্রমণের আর্থিক পরিকল্পনা আরও সুশৃঙ্খল হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন। তিনি কার্ড দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহ্ম্মদ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কার্ডের সুবিধা, ব্যবহারের নিয়ম এবং নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা ও পরিবর্তিত ব্যাংকিং সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যমুনা ব্যাংক নিয়মিত নতুন সেবা চালু করছে। হজ ও ওমরাহ প্রিপেইড কার্ড চালু করাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ। তিনি বলেন, “আমরা চাই প্রতিটি গ্রাহক নিরাপদ ও ঝামেলাহীন ব্যাংকিং সুবিধা পান। বিশেষ করে হজ ও ওমরাহ যাত্রীরা বিদেশে গিয়ে যেন আর্থিক লেনদেনে কোনো সমস্যায় না পড়েন, তার জন্যই এই সেবা চালু করা হয়েছে। এটি ব্যাংকের টেকসই প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
কার্ডটির অন্যতম সুবিধা হলো— এটি পেতে গ্রাহকদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই। ফলে যেকোনো যাত্রী সহজে এবং দ্রুত এই কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে কার্ডটি স্থানীয় ও বিদেশি মুদ্রা— উভয় ধরনের লেনদেন সমর্থন করে। সৌদি আরবের এ টি এম ও পস–মেশিনসহ অন্যান্য অনুমোদিত বৈদেশিক পেমেন্ট সিস্টেমে কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। এতে নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি কমবে এবং ব্যয়ের হিসাবও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য এই ধরনের বিশেষায়িত কার্ড দেশে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেবে বলে তাদের আশা। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হজ ও ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের অধিকাংশই এখন ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। এতে করে এই নতুন প্রিপেইড কার্ড তাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও নির্বিঘ্ন করবে।
যমুনা ব্যাংক আরও জানায়, ভবিষ্যতে এই কার্ডের সঙ্গে বিভিন্ন মূল্যছাড়, সেবা সুবিধা এবং প্রযুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যাংক বিশ্বাস করে, ধর্মীয় যাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা যাতে কোনো আর্থিক ঝামেলায় ব্যাহত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই উদ্যোগ।

