দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে আকুর দায় পরিশোধের পর গত নভেম্বর মাসে দেশের রিজার্ভ কমে ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক এই উল্লম্ফন অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রিজার্ভ বাড়াতে চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বাজার থেকে ২৮৭ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থ পাচার রোধে কড়াকড়ির ফলে হুন্ডির ব্যবহার কমে এসেছে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫০৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৭ শতাংশ। এর আগে গত অর্থবছরে প্রবাসী আয় বেড়েছিল প্রায় ২৭ শতাংশ।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে প্রতি ডলার ১২২ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কারণে তা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে আবার রিজার্ভ বাড়ার ধারা শুরু হয়েছে।

